ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে : বিবিএস
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আবারও বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সার্বিক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল খাদ্যপণ্যে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সেসময় নগরীতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৯ শতাংশের ওপরে। গত ১১ বছর ৯ মাসে (১৪৪ মাসে) মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল সর্বোচ্চ।
২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। তখন মূল্যস্ফীতি কখনো ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
২০২২ সালের আগস্ট মাসের পরে, মুদ্রাস্ফীতির হার আবার কমতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কমে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ ছিল।
অন্যদিকে, সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির হিসাব অনুযায়ী, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় এখনও মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি।
ফেব্রুয়ারিতে শহরাঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যেখানে গ্রামাঞ্চলে এটি ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ গণনা করা হয়েছিল। সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্য ও অখাদ্য উভয় ক্ষেত্রেই গ্রামীণ এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি ছিল।
এদিকে, গত কয়েক মাসে সরকারের মতে মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে।
এমনকি স্বল্প আয়ের মানুষের প্রোটিনের অন্যতম উৎস ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার ঊর্ধ্বে উঠে গেছে।
ফলে সাধারণ মানুষ অনেক দিন ধরেই কমফোর্ট জোনে নেই বলে জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন।
যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে, কিছু পণ্যের দাম কমলেও তা খুব কম হারে কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়।
নাজের হোসেন বলেন, ‘ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চাষ করা মাছ দেশের লাখ লাখ সীমিত আয়ের মানুষের প্রোটিনের প্রধান উৎস। দাম বাড়ার কারণে, নিম্ন-আয়ের মানুষেরা তাদের সীমিত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে এই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছেন।’