বসন্তেই বয়ে গেল কালবৈশাখী
চলছে বসন্ত। গতকাল ছিল ১১ ফাল্গুন। দিনটির শেষভাগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে গেল কালবৈশাখী ঝড়। এরই মধ্যে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ রাজধানী ঢাকায় হঠাৎই বইতে শুরু করে দমকা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলে হাওয়ার গতি। কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও হয়।
চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড় এবং পরে বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ এটিকে বছরের প্রথম কালবৈশাখী বলে মন্তব্য করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীতে ৩১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।