বসুরহাটে ৯৮ জনের নামে পুলিশের মামলা

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ-গোলাগুলির সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান রনি মামলার কথা নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় রাতে আলাউদ্দিন (৩২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের মমিনুল হকের ছেলে।
সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হৃদয় রয়েছেন। বাকিদের নোয়াখালী ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
বসুরহাটে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে আজ বুধবার সকাল থেকে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। থমথমে পরিস্থিতিতে বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউল হক মীর। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।’
এদিকে এ ঘটনার পর রাতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের সূত্রগুলো গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
কয়েকদিন থেকেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এর জের ধরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।