বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম, একজনের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরে বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপর্না আক্তার ইতিকে (১৯) কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির এই স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামির নাম- মো. ইমরান হোসেন ওরফে ঝাওয়ালী ওরফে জালালী।
আজ আসামি শাহজাহান ও ইমরানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় ইমরান দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহিউদ্দিন আল আমিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এরপরেই আসামিকে নিয়ম অনুযায়ী তিন ঘণ্টা সময় দেন বিচারক। জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই দুজনকে বাড্ডা থানার আনন্দনগর হতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি, একটি রক্তমাখা শার্ট ও ভিকটিমের ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
মামলার আরজি থেকে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে প্লাটিনাম জিম থেকে পায়ে হেঁটে বাসার উদ্দেশে রওনা হন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপর্না। রাত সোয়া ১১টার দিকে আফতাবনগর সি ব্লকে অবস্থিত ইম্পেরিয়াল কলেজের সামনে মেইন রোডে পৌঁছালে দুজন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপর্নার ভাই মোহাম্মদ আল আমিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অভিযোগ করলে দস্যুতা মামলা হয়।