বিয়ে ও তালাক নিবন্ধনের ফি বাড়ল
বিয়ে ও তালাক নিবন্ধনের ফি বেড়েছে। একই সঙ্গে নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) লাইসেন্স ফি এবং বার্ষিক ফি বাড়ানো হয়েছে। ‘মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন (বিধিমালা), ২০০৯’ সংশোধন করে ফি বাড়ানো হয়।
সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ সম্প্রতি ‘মুসলিম ম্যারেজেস অ্যান্ড ডিভোর্সেস (রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৪’-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে বিধিমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, এখন একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার টাকা দেনমোহর বা এর অংশ বিশেষের জন্য ১৪ টাকা হারে বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন। দেনমোহরের পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকার বেশি হলে এর পরের প্রতি এক লাখ টাকা দেনমোহর বা এর অংশ বিশেষের জন্য ১০০ টাকা বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন। তবে, দেনমোহরের পরিমাণ যাই হোক না কেন, ফি ২০০ টাকার কম হবে না।
আগে চার লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার টাকা দেনমোহর বা এর অংশ বিশেষের জন্য ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারতেন কাজী।
একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার তালাক নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি নিতে পারতেন। এখন তা বেড়ে হলো এক হাজার টাকা।
নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স লাইসেন্স ফি সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০ হাজার টাকার থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার টাকা। কাজীর লাইসেন্স ফি জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকায় দুই হাজার টাকা থেকে চার হাজার, জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকায় ৭০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে।
এখন লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রারকে প্রতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে ১০ হাজার, জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকার ক্ষেত্রে দুই হাজার টাকা, জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকার ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা বার্ষিক ফি খাতে সরকারকে দিতে হবে। আগে এ ফি ছিল যথাক্রমে পাঁচ হাজার টাকা, এক হাজার টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০ টাকা।
এ ছাড়া এখন থেকে নতুন হারে নিকাহ রেজিস্ট্রারের আদায় করা ফি থেকে প্রতি অর্থবছরের জন্য পরবর্তী অর্থবছরের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিবাহ নিবন্ধন ফি সরকারকে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ফি সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রত্যেক ওয়ার্ডের বিপরীতে ১৬ হাজার টাকা। আগে ছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি করপোরেশনে প্রত্যেক ওয়ার্ডের বিপরীতে ২০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশনে প্রত্যেক ওয়ার্ডের বিপরীতে আট হাজার টাকা।