‘বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা একটি দেশের উন্নয়নকে দীর্ঘস্থায়ী করে’
সামাজিক সংকট দূর করতে বই পড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পাঠাগারই করে থাকে। এইভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা একটি দেশের উন্নয়নকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের কোমাল্লা গ্রামে বিলকিছ আলম পাঠাগারে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এমনটি বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থাকেন্দ্রের উদ্যোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিলকিছ আলম পাঠাগারে আজ সোমবার ‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ও কবি মিনার মনসুর। প্রধান অতিথি ছিলেন মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এইচ আর হারুন। সভাপ্রধান ছিলেন কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কবিরুল ইসলাম খাঁন।
প্রধান আলোচক মিনার মনসুর বলেন, ‘আর্থিক অনুদান দিয়েও পাঠাগার চালানো যাবে না, যদি না তার পাঠক আন্তরিক ও সক্রিয় না থাকে। তাই পাঠাগারগুলোকে কেবলমাত্র বই না, সাংস্কৃতিক হাব হিসেবে কাজ করা উচিৎ। সেই কাজটাই বিলকিছ আলম পাঠাগার করে যাচ্ছে।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল গবেষক অধ্যাপক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ তানভীর হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পাল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব হোসেন, ঘোলপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে খোকন, কুমিল্লা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী গণগ্রন্থাগারিক মোহাম্মদ নাফিস সাদিক শিশির প্রমুখ।
‘বিলকিছ আলম পাঠাগার’র প্রতিষ্ঠাতা কবি ইমরান মাহফুজের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীরহাট প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম লতিফী, ধনুসাড়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল, মিয়াবাজার ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শরীফুল ইসলাম, চৌদ্দগ্রাম সরকারি পাইলট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নান্টু চন্দ্র দেবনাথ, কবি আমজাদ হোসাইন, ফেনী সিটি কলেজের প্রভাষক ও বিলকিছ আলম পাঠাগারের সহ-সভাপতি ইয়াসিন পাটওয়ারী, বিলকিছ আলম পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।