বৃদ্ধের জমি জবরদখল করে পুকুর খননের অভিযোগ

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় ৪০ বছর ধরে ভোগকৃত এক বৃদ্ধের জমি জবরদখল করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। দখলে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের দেখানো ভয়ভীতিতে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই বৃদ্ধ। জীবনের নিরাপত্তা ও জমি ফিরে পেতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল শনিবার দুপুরে চিলা ইউনিয়নের বৈদ্যমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসন ও লিখিত অভিযোগে থেকে জানা যায়, উপজেলার চিলা বৈদ্যমারীর জেএল-১৩ নম্বর মৌজায় এক দশমিক ৭ একর বাসতবাড়ির মধ্যে ২৫ শতক জমিতে ৪০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন আনোয়ার হোসেন (৭০)। সর্বশেষ জরিপেও আনোয়ার হোসেনের নামেই এই জমির দখল উল্লেখ রয়েছে। তবে গতকাল শনিবার দুপুরে প্রতিবেশী নুরুল হক ও তার ছেলে নাছির লোকজন নিয়ে ওই জমি নিজের দাবি করে সেখানে পুকুর খনন শুরু করে। এতে বাধা দিলে নুরুল হক আনোয়ার হোসেনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখান থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলেই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই বৃদ্ধ।
বৃদ্ধ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ৪০ বছর ধরে ২৫ শতক জমিতে ঘরবাড়ি করে বসবাস করে আসছি। হঠাৎ নুরুল ও তার ছেলে নাছির আমার বসতঘরটুকু বাদে বাকি জমিতে পুকুর কাটতে শুরু করে। আমি বাধা দেওয়াতে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আজও (রোববার) তারা সেখানে পুকুর খনন করছে। পুকুরের তোলা মাটি আশপাশে বিক্রি করছে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি, দেখি কি হয়।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাছির বলেন, ‘এখানে যদি আনোয়ারের কোনো জায়গা থাকে তাহলে সে খুচে নিয়ে যাক। আমাদের জায়গায় আমরা পুকুর কেটেছি।’
মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অমিত বিশ্বাস বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টিতে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’