বেনাপোল দিয়ে ডিজেল পাচার রোধে বিজিবির কড়া নজরদারি
বেনাপোল বন্দর ও সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচার ঠেকাতে কঠোর নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি সদস্যরা। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসা ট্রাকের তেলের ট্যাংকি স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ করছে এবং ওই ট্রাক পণ্য খালাস করে ফিরে যাওয়ার সময় আবারও পরিমাপ করা হচ্ছে।
আজ বুধবার দুপুরে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি গেটে তেল পাচার রোধে তদারকি করতে দেখা যায় বিজিবি সদস্যদের।
জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেলের যখন মূল্য ছিল ৬৫ টাকা ২০ পয়সা তখন ভারতে মূল্য ছিল প্রতি লিটার ১০১ দশমিক ৫৬ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় একশ ১৮ টাকা ৭৮ পয়সা)। গত ৪ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি লিটার করা হয় ৮০ টাকা। তখন ভারতে ডিজেলের দাম কমিয়ে করা হয় ৮৯ দশমিক ৭৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ১০৫ টাকা)।
প্রতি লিটারে বাংলাদেশ থেকে ভারতে দাম বেশি ২৫ টাকা। আর এ কারণে ডিজেল পাচারের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। আর এ সুযোগটা নিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় এক শ্রেণির পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা।
সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকে তেল পাচার ও সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে তেল পাচারের সংবাদ প্রচার হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
বিজিবির হাবিলদার আব্দুল কুদ্দুস জানান, ভারত থেকে আসার সময় যে তেল ছিল তা আমরা লিখে রেখেছি। যাওয়ার পথে ওই ট্রাকের তেলের পরিমাপ করা হচ্ছে। যদি বেশি পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনও এরকম কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, ওপারে ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় বিভিন্ন তেল পাম্প থেকে ব্যারেল ভরে এনে বন্দরের আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে রেখে এসব ডিজেল পাইপের মাধ্যমে ভারতীয় ট্রাকের ট্যাংকিতে ভরে দিত। আর এ কারণে বন্দরের আশেপাশে গড়ে ওঠে ডিজেল পাচারের একটি সিন্ডিকেট। বিজিবি কড়াকড়ি আরোপ করায় এসব সিন্ডিকেট চুপসে গেছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেনেন্ট কর্ণেল সেলিম রেজা বলেন, ‘ভারতে জ্বালানি তেল পাচার রোধে অতিরিক্ত নজরদারি বাড়াতে হেডকোয়ার্টার থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যার ফলে আমরা আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকগুলোর জ্বালানি তেল স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে খাতায় নোট করে রাখছি। ট্রাকগুলো ফিরে যাওয়ার সময় আবারও স্কেল দিয়ে পরিমাপ করা হচ্ছে। পূর্বের এন্ট্রি করে রাখা তেলের পরিমাণ মিলিয়েই ট্রাক ছাড়া হচ্ছে।’