ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নতুন জামাইয়ের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবদুল আহাদ (২২) নামের এক নতুন জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে শহরের ভাদুঘর এলাকার একটি ওয়ার্কশপে ওয়েল্ডিং মেশিন দিয়ে কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান তিনি। তিনি পৌর এলাকার চন্ডালখিলের দ্বীন ইসলামের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ১৪ দিন আগে আবদুল আহাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর কয়েকদিন আগে তিনি কাজে যোগ দেন। আজ বিকেলে ওয়ার্কশপে ওয়েল্ডিং মেশিন দিয়ে কাজ করতে গেলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
এর আগে আজ সকালে জেলার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের হাতুড়াবাড়ি পশ্চিমপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত দুজন হলো গোলাম মাওলা (৩৬) ও তাঁর ছেলে ইমামুল হক জুবায়ের (১১)। এ সময় গোলাম মাওলার স্ত্রী সামসুন্নাহারও গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ সকালে শিশু জুবায়ের ঘরে থাকা আলমারি স্পর্শ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়। এ সময় তাঁর বাবা গোলাম মাওলা তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেও বিদ্যুতায়িত হন। গোলাম মাওলার স্ত্রী সামসুন্নাহার স্বামী-সন্তানকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। তবে এ ঘটনায় মৃত্যু হয় বাবা-ছেলের। পরে আহত সামসুন্নাহারকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কসবা থানার ওসি মো. আলমগীর ভূঁইয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।