ভূমি কার্যালয় সিসিটিভির আওতায় আনা হবে : ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি কার্যালয়ে গিয়ে জনগণ যাতে কোনো ধরনের হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে না পড়ে, সেজন্য আমরা ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে ই-নামজারি, অনলাইনে ভূমিকর প্রদান ও ডিজিটাল সার্ভের কাজ শুরু করে দিয়েছি। তারপেরও ভূমি কার্যালয়ে অনেকে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে খবর পাচ্ছি। এটা দূর করতেই আমরা ভূমি কার্যালয়গুলো সিসিটিভির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছি।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকেন্দ্রে বিএসআরএফ সংলাপে এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি মালিকদেরকে মালিকানাবিষয়ক স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। এ কার্ডের মধ্যে মালিকের ভূমিবিষয়ক যাবতীয় তথ্য থাকবে। যেটার নাম হবে সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওউনারশিপ (ভূমি মালিকানার সনদ)। একজন ব্যক্তি কতটুকু জমি আছে, তার আদ্যপান্ত উল্লেখ থাকবে কার্ডটিতে এবং তা অটো (স্বয়ংক্রিয়ভাবে) হালনাগাদ হবে। এই অর্থ বছরে ভূমি মালিকরা স্মার্টকার্ড এর কাজ শুরু করা হবে। যেমন কোনো এক ব্যক্তির ২০ কাঠা জমি আছে, সেখান থেকে পাঁচ কাঠা বিক্রি করে ফেললেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হয়ে যাবে।’
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘কার্ড দেওয়ার জন্য কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরেই দেওয়া হবে এটি। একজন জমি মালিকের কি আছে, না আছে, তা এতে থাকবে।’
মাঠ পর্যায়ের ভূমি কার্যালয়গুলোতে এখনও সমস্যা রয়ে গেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেসব জায়গায় এখনও লোকজনকে হয়রানি হতে হচ্ছে। কিন্তু এসবকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে আমরা চেষ্টা করছি। অভিযোগগুলো শোনার জন্য আমরা কল সেন্টার করেছি। তা আরও হালনাগাদ করা হচ্ছে। কল সেন্টারে বিদেশ থেকেও ফোন করে সমস্যার সমাধান হচ্ছে। আমরা হয়রানির জায়গাটা কমিয়ে এনেছি। জমি এমন একটি বিষয়, যা সাধারণ মানুষের কাছে একটি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়।’