ভৈরবে বালতিতে ডুবিয়ে শিশু হত্যার অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাথরুমের বালতির পানিতে ডুবিয়ে আয়ান নামের ১৬ দিন বয়সী এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার দুপুরে পৌর শহরের কালীপুর মধ্যপাড়ায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে টিভি মেকানিক ইদ্রিস মিয়ার স্ত্রী সাকিলা বেগম শিশুপুত্র আয়ানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রান্না নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন দাদি শামসুন্নাহার বেগম। তিনি রান্না শেষে ঘরে এসে দেখতে পান সাকিলা ঘুমিয়ে থাকলেও পাশে নেই শিশু আয়ান।
এ সময় সাকিলাকে জাগান তার শাশুড়ি শামসুন্নাহার বেগম। পরে দুজনেই চিৎকার শুরু করেন। তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং আয়ানের সন্ধান করতে থাকে। একপর্যায়ে বাথরুমে গিয়ে দেখতে পান, বালতির পানিতে আয়ানকে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। তাৎক্ষণিক শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক স্বপ্না রানী দত্ত জানান, তারা শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। কে বা কারা এবং কী কারণে শিশুটিকে হত্যা করেছে বলতে পারছে না শিশুটির পরিবারের সদস্যরা।
শিশু হত্যার খবর জেনে হাসপাতালে আসেন ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, শিশুটির মৃত্যু অস্বাভাবিক ও রহস্যজনক। এই কারণে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এলাকাবাসী জানায়, ইদ্রিস পেশায় টিভি মেকানিক। সাকিলার বাপের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে। দেড় বছর আগে তারা বিয়ে করেন। আয়ান তাদের প্রথম সন্তান। ১৬ দিন আগে স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম নেয় আয়ান। ইদ্রিসের বসতঘরটি টিনশেডের। বাথরুমটি ঘরের সঙ্গে যুক্ত। তবে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দা দিয়ে বাথরুমে আসা-যাওয়া করতে হয়।