ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া অনলাইনে ব্যবসা, ১৬ প্রতিষ্ঠান নজরদারিতে
ভ্যাট নিবন্ধন না নিয়ে ফ্ল্যাটে পণ্য রেখে অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে রাজধানীর গুলশানে অভিযান চালিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দারা। গুলশান ১ নম্বরের ৩০ নম্বর রোডের একটি বাড়ির এক ফ্ল্যাটে মেসার্স আরাজ ট্রেডিং নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটির মালিকের নাম সাজ্জাদ আলী শরীফ।
ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত রোববার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্যাট নিবন্ধনহীন আরো ১৬টি অনলাইন ব্যবসা নজরদারিতে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
অভিযানকালে গোয়েন্দারা আরাজের প্রাঙ্গণ থেকে স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রির দলিলাদি জব্দ করেন। ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার এতে নেতৃত্ব দেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দলটি দেখতে পায় আরাজ দুটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির লেনদেন করে। ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে কতিপয় ব্যবসায়ী অনলাইনে পণ্য বিক্রি করায় শোরুমের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার পরিবেশ ক্ষুন্ন হচ্ছে।
অভিযানে ওই আবাসিক ঠিকানায় গোয়েন্দারা তাদের ভ্যাট নিবন্ধন দেখতে পাননি। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট সার্কেলে যাচাই করে দেখা যায়, ওই সার্কেলে বিগত মাসগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি কোনো রিটার্ন জমা দেয়নি।
প্রতিষ্ঠানটি তিন বছর ধরে অনলাইনে অলংকার, নারীদের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা চালায়। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এই অনলাইন ব্যবসার উপস্থিতি রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আরাজের অধিকাংশ পণ্যই পাকিস্তানের তৈরি। ব্যাগেজ ও পার্সেলে এসব পণ্য এনে বাসায় বসে তারা অনলাইনে বিক্রি করছে। ভ্যাট আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন না নিয়ে এবং কোনো মাসিক রিটার্ন জমা না দিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি দুটি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির লেনদেন সম্পন্ন করছে। এরই মধ্যে ভ্যাট গোয়েন্দারা ওই দুটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে হিসাব তলব করেছে। এই হিসাব আমলে নিয়ে পরবর্তীতে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
অন্যদিকে, ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করছে এমন ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।