মঞ্চের মতো সরকারও ভেঙে পড়বে : ডা. জাহিদ হোসেন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘গতকাল তো শুধু মঞ্চ ভেঙে পড়েছে। কিছুতেই যদি বিদায় না হয় তাহলে মঞ্চের মতো সরকারও ভেঙে পড়বে। সরকার কাঁচের ঘরের মধ্যদিয়ে দিবা স্বপ্ন দেখছে ও বিভিন্ন আওয়াজ করছে। আমাদের দেশে একটি প্রবাদ আছে, খালি কলস বাজে বেশি।’
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আয়োজিত গণআন্দোলনের ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্রকাঠামোর রূপরেখা ২৭ দফা বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিটের দলীয় নেতা ও পেশাজীবীদের সঙ্গে আলোচনা সভায় আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তবে জাহিদ হোসেন এ কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘সরকারদলের কতিপয় নেতানেত্রীর কথা শুনে মনে হয় উনারা দিবা স্বপ্ন দেখছেন। ৩০ তারিখে ঢাকায় বিএনপি গণসমাবেশ হয়েছে, সেটিতে মানুষের সম্পৃক্ততা দেখলে বোঝা যায় মানুষ এই সরকারকে চায় না। তবে, এর আগে দরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন ও গ্রহণযোগ্যতাসম্পন্ন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।’
প্রধান অতিথি জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এটি সিপিডি ও অন্যান্য সুধীজনরা বলছেন। বাংলাদেশের ৮০০ কোটি কোথায় গেল আজ পর্যন্ত তা আর বের হলো না। দেশের অর্থনীতি আজ চরম বিপর্যস্ত।’
জাহিদ বলেন, ‘১৪ বছরে কতশত মানুষ গুম হয়েছেন। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বলা হচ্ছে অজ্ঞাত আসামি, দেশ এখন কোন জায়গায় গেছে। আইন-আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নগ্নভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর প্রকৃত উদাহরণ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন নিয়ে নানা টালবাহানা।’
সভাপতির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেন, ‘১০ দফা দাবির পাশাপাশি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখাও মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। বিষয়গুলো তৃণমূলের মানুষ কীভাবে দেখছে ও গ্রহণ করছে এবং ওখানে তাদের কোনো প্রস্তাব ও মতামত থাকলে তা নিতে হবে।’
শহরের একটি অভিজাত হোটেলে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসিন মিয়া মধু, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাবেক মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার দাস, নাসির উদ্দীন আহমদ মিঠু, আশিক মোশাররফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসী মিছবাহ উর রহমানসহ অন্যান্যরা।
উপস্থিত ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, হেলু মিয়া, বদরুল আলমসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর শাখার নেতাকর্মীরা।