চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বড় দারোগাহাটের ওজনস্কেলে কাজ করার সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আনসার সদস্যসহ পৃথক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। দেড়ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুটি দুর্ঘটনায় দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় মহাসড়কজুড়ে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টা দিকে একটি এবং একই স্থানে রাত ৩টার দিকে অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পিকআপের ধাক্কায় মো. মাঈন উদ্দিন (৩২) নামের এক আনসার সদস্য নিহত হন। এ ছাড়া রাত ৩টার দিকে একই এলাকায় লরির সঙ্গে সোহাগ পরিবহণের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের সুপারভাইজার মো. নাছির উদ্দিন (৪৪) নিহত হন।

নিহত আনসার সদস্য মাঈন উদ্দিনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। তিনি বড় দারোগাহাট ওজনস্কেলে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে বড় দারোগাহাট ওজনস্কেল এলাকায় ওই আনসার সদস্য দায়িত্বরত অবস্থায় সড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকামুখী একটি পিকআপভ্যান তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মাঈন উদ্দিন নিহত হন। পিকআপটি জব্দ করা যায়নি।’

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল বলেন, ‘বড় দারোগাহাট ওজন স্কেল এলাকায় রাত ৩টা পর্যন্ত যানজট লেগে ছিল। দ্রুত যানজট পার হওয়ার জন্য ঢাকামুখী সোহাগ পরিবহণের বাসটি উল্টোপথে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সোহাগ পরিবহণের সুপারভাইজার ঘটনাস্থলে নিহত হন।’

পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসের সুপারভাইজারের লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও লরিটি তাঁদের হেফাজতে রয়েছে। সোহাগ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাসের সহকারীর পরিবারের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।’

উপজেলা আনসার–ভিডিপি কমান্ডার মুজিবুর রহমান বলেন, ‘নিহত মাঈন উদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আনসার–ভিডিপির জেলা কার্যালয় থেকে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’