মাদারীপুরে পাঁচখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (একাংশ) পরিচিতি সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খানের উপস্থিতিতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কমপেক্ষ ১২ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের পূর্ব পাঁচখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতের মধ্যে ছয়জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন—পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর এলাকার জুয়েল হাওলাদারের ছেলে ইমন হাওলাদার (২৫), মনা খলিফার ছেলে মাসুদ খলিফা (৩৫), নূর মোহম্মদ হাওলাদারের ছেলে আল-আমিন হাওলাদার (২৮), খালেক মুনশির ছেলে নাঈম মুনশি (১৭), লিটন হাওলাদারের ছেলে অর্ক হাওলাদার (১৬) ও ছালাম জমাদ্দারের ছেলে আলী হোসেন (১৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশ পরিচিতি সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন পাঁচখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক ওরফে স্বপন হাওলাদার। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান। এ ছাড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

সভা উপলক্ষে রাস্তি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা ও পাঁচখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে একটি মিছিল আসার পর শুরু হয় হট্টগোল। একপর্যায়ে বেল্লাল মোল্লা ও নাসিরউদ্দিন সমর্থকদের সঙ্গে পাঁচখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হকের সমর্থকদের হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর উভয়পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে আহত হন উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, দুপক্ষের সংঘর্ষ হওয়ায় সংক্ষিপ্ত আকারে পাঁচখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পরিচিতি সভা শেষ করা হয়। হামলায় আহতদের দেখতে রাতে হাসপাতালে যান সংসদ সদস্য শাজাহান খান। এ সময় তিনি আহত নেতাকর্মীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভায় চেয়ারে বসা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে, ঘটনা তেমন বড় নয়। গুরুতর কেউ আহত নেই। দু-একজন সামান্য আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আমরা এ পর্যন্ত (সোমবার দুপুর) কোনো অভিযোগ পাইনি।’