মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল আজ থেকে পূর্ণাঙ্গ কোভিড ডেডিকেটেডে রূপান্তর
আজ থেকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ রোগীরা জেলার অন্যান্য চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নেবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন কার্মকর্তাদের সঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সরকারি কার্যক্রম সুসমন্বয়ের লক্ষ্যে আয়োজিত জরুরি মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই জরুরি মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়ক এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
এদিকে, জেলা হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড করায় সাধারণ রোগীরা কোথায় চিকিৎসা নেবে জানতে চাইলে হাসপাতালের কোভিড ডেডিকেটেডের সমন্বয়ক ডা. মানবেন্দ্র সরকার ফোনালাপে জানান, যেহেতু করোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে ইতোমধ্যে ঘোষিত ১০০ শয্যার কোভিড ডেডিকেটেড দিয়ে তেমনটা সুফল আসছিল না। সেইসঙ্গে সাধারণ রোগীদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। সে লক্ষেই আজ থেকে হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ কোভিড ডেডিকেটেড করা হলো। তবে হ্যাঁ, এখন থেকে সাধারণ রোগীদের মধ্যে আউটডোর রোগীরা চিকিৎসা নেবেন কর্নেল মালেক মেডিকেল হাসপাতালে, মা ও শিশু সংক্রান্ত অর্থাৎ গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা মা ও শিশু চিকিৎসা কেন্দ্র, সিজারিয়ান ও ডায়াবেটিস চিকিৎসা সেবার জন্য মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এছাড়াও নিকটস্থ বেসরকারি হাসপাতাল মুন্নু মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। সেখানে রোগীরা বেসরকারি হাসপাতাল হলেও অনেকটা সরকারি সুবিধায় সেবা পাবে বলে আস্বস্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে, গতকালের ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, স্থানীয় সরকার বিভাগে উপপরিচালক শফিকুল ইসলামসহ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসহ রাজনৈতিক নেতারা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।