মিরপুরে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ, শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে শিশুসহ সাত জন দগ্ধ হয়েছে। মিরপুর–১১ নম্বরের সি–ব্লকের একটি ছয় তলা ভবনে গতকাল বুধবার রাতে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের মিরপুর বিভাগের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কামরুল হাসান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের লাইনের জয়েন্ট খুলে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এরই মধ্যে দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মিরপুরে একটি বাসায় অগ্নিকাণ্ড হয়। এ সময় সাত জন দগ্ধ হয়। শুনেছি রাতে বিকট শব্দ হয়। পরে আগুন ধরে যায়। আহতদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধ সাত জন হচ্ছে—ওই বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলামের মা রওশন আরা বেগম (৭০), ভাই শফিকুল ইসলাম (৩৫) ছোট বোন রিনা বেগম (৫০) বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়া নাজনীন আক্তার (২৫), তাঁর মেয়ে নওশীন (৫) পাশের বাসার ভাড়াটিয়া রেনু বেগম (৩৫) এবং পথচারী সাজ্জাদ হোসেন (৩০)।
এদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, দগ্ধ সবাইকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ওই ছয় তলা ভবনের গ্যাস লাইনে কয়েকদিন ধরে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। বেশ কয়েকবার মিস্ত্রি দিয়ে মেরামত করা হলেও গ্যাস লাইন পুরোপুরি ঠিক হয়নি। এ কারণে গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে মিস্ত্রিরা গ্যাস সংযোগ মেরামত করতে আসেন। মেরামত শেষে লাইন পরীক্ষা করার জন্য নিচ তলার চুলা জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় শিশুসহ সাত জন দগ্ধ হয়।