মুন্সীগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে এক রাতে ১০ ঘর বিলীন
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়নের মূলচর এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ১০টি ঘর বিলীন হয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে অল্প অল্প ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু গত শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায়। এতে পুনরায় ভাঙন দেখা দিলে কিছু করার আগেই গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ১০টি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ি নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পদ্মার ভাঙনে ঘরহারা শুভ ঘোষ জানান, শুক্রবার থেকেই পদ্মা নদীর এই অংশে তীব্র স্রোত দেখা দেয়। এতে অল্প অল্প ভাঙন দেখা গেলেও শনিবার রাতে আমাদের দুটি ঘর মুহূর্তের মধ্যেই পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ঘরটা বিক্রি করে দিয়েছিলাম, কিন্তু পদ্মার এই আকস্মিক ভাঙন তা নিয়ে গেল। টাকাটা আর পাইলাম না।
পদ্মার তীব্র স্রোতে ঘর ভাঙা চন্দনা জানান, গতকাল আমার ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কোনো কিছুই সরাতে পারি নাই।
দীঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফ ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরেই অল্প অল্প করে নদীর তীর ভাঙছে। কিন্তু গত শুক্রবার আবার পদ্মা নদীর তীব্র স্রোত বেড়ে যাওয়ায় এই ভাঙন সৃষ্টি হয়। তবে গতকাল রাতে ১০টি ঘর বিলীন হয়ে গেছে। গত এক মাসে বিলীন হয়ে গেছে ৩০টির মতো ঘর। ইতিমধ্যেই বিষয়টি এমপি মহোদয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। ১০টি ঘর ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা তাদের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। প্রাথমিকভাবে আমি তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি। তাদের খাদ্য সহায়তা লাগবে কি না, সেটা আমি দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তবে যেটা স্থায়ী সমাধান, যে রিভার প্রটেকশন—এটার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা একটা প্রতিবেদন দিব। তার পরই তারা সরকারের কী উদ্যোগ, সেটা তারা নেবে। এটা তাদের ব্যাপার। তবে প্রাথমিক যে মানবিক সহযোগিতা, সেটা করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।