পদ্মার আকস্মিক ভাঙনে বিলীন পাকা ভবনসহ বসতঘর
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মার আকস্মিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে উপজেলার বড়নওপাড়া এলাকায় একটি ভবন, দুটি বসতঘরসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েকশত মিটার অংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ভাঙন আজ শুক্রবারও (৬ অক্টোবর) অব্যাহত রয়েছে।
এই ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে আরও বেশ কিছু পাকা ভবনসহ স্থাপনা। ভাঙন থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত ১৫টি বসতঘর-জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে এসব ঘরের বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টিপাত ও নদীতে রাতভর অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারণেই হঠাৎ এমন ভাঙন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের পর লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নদীতীরে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়। এতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। ক্রমশভাঙনে নদীপাড়ে থাকা কয়েকশ মিটার তীর ভেঙে যায়। এতে স্থানীয় জিতেন রাজবংশীর পাকা ভবন ও টিনকাঠের ঘর, সুধন রাজবংশীর একটি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ ছাড়া স্বপন রাজবংশীর পাকা ঘর আংশিক ভেঙে পড়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে পুরো ভবনটি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পদ্মা নদীতে রাতভর অবৈধবালু উত্তোলন করে বালুখেকোরা। এসব বালু শতশত বাল্কহেড দিয়ে পাচার করা হয় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায়। নদীতে অবৈধ ড্রেজিং বাল্কহেড চলার কারণে তীব্র ঢেউয়ের প্রভাবে নদী ভাঙনের অন্যতম কারণ।
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, ওই এলাকায় তীর রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছিল আগে থেকেই। একই সঙ্গে ওই এলাকা সংলগ্ন নদীতে যেন বাল্কহেড বা নৌযান আপাতত না চলে সে জন্য নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।