মুন্সীগঞ্জ বিএনপির ১৭৭ নেতাকর্মীর আগাম জামিন
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, শহর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ইরাদত মানু, মীরকাদিম পৌরসভার আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা মো. হালিম হোসেনসহ ১৭৭ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন। এর আগে গত সপ্তাহে এই মামলায় তাঁরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান সুজা আবেদনগুলো করেছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়। মামলা দুটিতে এক হাজার ৩৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তি আছেন। দুটি মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে জেগলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মুক্তারপুরে শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধর করে গুরুতর জখমের অভিযোগে মামলা করেন মুক্তারপুর বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও শ্রমিক লীগের নেতা আবদুল মালেক। এ মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকর্মী হত্যার বিচার দাবিতে মুন্সীগঞ্জ শহরের মুক্তারপুর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।