মোংলায় করোনার গণটিকা কার্যক্রম শুরু

বাগেরহাটের মোংলায় আজ থেকে শুরু হয়েছে করোনার গণটিকা কার্যক্রম। এর আগেই উপজেলার প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছেন, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মজীবী। নতুন এ কার্যক্রমে শতভাগ মানুষ টিকার আওতায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। দুদিনের এ কার্যক্রমে আজ শুক্রবার পৌর এলাকায় এবং আগামীকাল ছয়টি ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে গণটিকা।
সকাল থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে আসতে শুরু করেন পৌরবাসী। গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় টিকা নিতে লাগছে না নিবন্ধন। ফলে মানুষের মধ্যে সাড়াও বেশ ভালো।
সকালে হাসপাতালের গণটিকা কার্যক্রমে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে টিকা নিতে আসা মানুষের মধ্যে সমাজের অবহেলিতরাই বেশি। কোন কাগজপত্র ছাড়াই লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের নাম বলামাত্রই টিকা পাওয়া খুশি তাঁরা। অনেক দেরিতে হলেও টিকা নিতে পারায় উচ্ছ্বসিত।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারীর মো. আরমান হোসেন বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই টিকা নেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতার কারণে নিতে পারিনি। এখন কাগজপত্র ছাড়াই টিকা নিয়েছি, খুব ভাল লাগছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে কোনো নিবন্ধন ছাড়াই গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্র ও শনিবার দুদিন এ কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হবে। এ দুদিনের জন্য ২০ হাজার টিকা মজুদ করা হয়েছে।’
ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে মোংলার ৭৫ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় রয়েছে। আগামী দুদিনের কার্যক্রমে তা বেড়ে ৮০ ভাগ ছাড়িয়ে যাবে। মোংলার মোট জনসংখ্যার এক লাখ ৬৩ হাজারের মধ্যে এ পর্যন্ত এখানে প্রথম ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৯৯ হাজার মানুষ।’
এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘টিকা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে মোংলা বাগেরহাট জেলার মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। আর বাগেরহাট জেলা খুলনা বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে। এ বিভাগে প্রথম অবস্থানে আছে মাগুরা।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ৭০ ভাগের হার্ড ইমিউনিটি বাস্তবায়নে শুক্রবার পৌরসভার বাসিন্দাদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও শনিবার ছয়টি ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্রে গণটিকা দেওয়া হবে। এর ফলে করোনা সংক্রমণের হার হ্রাস পাবে এবং হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হবে।’