মোবাইল চুরির অপবাদে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় এক তরুণীকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অসুস্থ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই তরুণীকে (১৯) ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগী তরুণী দাবি করেন, ‘তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিট করার পর দুজন লোক দিয়ে ধর্ষণ করানো হয়েছে।’
পুলিশ, পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ওই এলাকার রোজিনা নামের এক নারী ও তার মাসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়িতে যান। সেখানে কথাবার্তা শেষে ফিরে আসেন। কিছুক্ষণ পর রোজিনা ওই বাড়িতে আবার গিয়ে তাঁর মোবাইল ফেলে গেছে বলে দাবি করেন। কিন্তু ওই তরুণী মোবাইল দেখেননি বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রোজিনা ওই বাড়ি থেকে চলে আসেন। এরপর বিকেলে রোজিনা ও তাঁর মা পারুল কয়েকজন লোক সঙ্গে নিয়ে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর দুদিন পর গতকাল সকালে তাঁকে অচেতন অবস্থায় তাদের বাড়িতে ফেলে রেখে আসে তারা।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আব্দুর রহমান ফিরোজ জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মেয়েটির চিকিৎসা করছেন। সন্ধ্যায় ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা- নিরীক্ষার জন্য তাঁকে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ওসিসিতে পাঠানো হতে পারে। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলেই বিস্তারিত জানাতে পারব।
মধুখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রথীন্দ্রনাথ তরফদার বলেন, ‘ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমিও হাসপাতালে মেয়েটিকে দেখতে গিয়েছিলাম। মেয়েটি খুবই অসুস্থ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নামে একটি মামলা করেছেন। থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা রোজিনা ও তার মা পারুল আক্তার গ্রেপ্তার দেখানে হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।'