মোমেন-মেভলুত বৈঠক, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষায় জোর
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য ও প্রতিরক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তুরস্ক।
আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও বাংলাদেশ সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু এ বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশের জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তুরস্ক থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুদিনের সফরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তাঁকে স্বাগত জানান।
এর আগে ড. এ কে আবদুল মোমেন চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তুরস্ক সফর করেন এবং আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান সম্প্রতি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির নজর রয়েছে তাঁর দেশের। সেইসঙ্গে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি আনতে চান তাঁরা।
‘আমরা এমন এক বাংলাদেশকে দেখি যার রয়েছে খুব উজ্জ্বল এক ভবিষ্যৎ। এ দেশের অর্থনীতি আমাদের দেশের মতো দ্রুত বাড়ছে। তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। এই দেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা দিচ্ছে,’ তুরান বলেন।
তুরস্কের একটি বিখ্যাত কোম্পানি চট্টগ্রামে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) খাতে প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। তুরস্ক ও বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগ সম্প্রসারণ।
দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার এবং এ সংখ্যাটিকে বাড়ানোর অপেক্ষায় রয়েছে দুই দেশ। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫ দশমিক চার কোটি ডলার।