মৌলভীবাজারে পুলিশের ‘মাস্ক সপ্তাহ’ উদ্বোধন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/11/26/moulvibazar-dist-police-2.jpg)
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ‘ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই, মাস্ক ছাড়া গতি নাই’ এই স্লোগান নিয়ে ‘মাস্ক সপ্তাহ’ শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের চৌমুহনা এলাকায় শোভাযাত্রা শেষে ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ।
জেলা শহরের তিনটিসহ মোট ৩০ স্থানে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মঞ্চ করেছে পুলিশ। যারা মাস্ক পরিধান করেনি পুলিশ তাদের ওই মঞ্চে নিয়ে মাস্ক পরার পক্ষে শপথবাক্য পাঠ করানোর পর মাস্ক পরিধান করে দিচ্ছে। যারা মাস্ক পরিধান করেছে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। যানবাহনে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নানা স্লোগান যুক্ত স্টিকার লাগানো হচ্ছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে উৎকণ্ঠা, ভয় শেষ না হতেই সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা উঠছে। কেবল পশ্চিমা দেশেই নয়, বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘উনিশ শতকের গোড়ার দিকে স্পানিশ ফ্লুর মোট তিনটি ঢেউ বা ওয়েভ দেখা গিয়েছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউটা ছিল প্রথমটির তুলনায় মারাত্মক। তাই পুরোপুরি নিশ্চিত বসে থাকার কোনো উপায় নেই। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়ছে। ওইসব দেশ আবার কঠোর লকডাউনের কথা ভাবছে। বাংলাদেশেও সংক্রমণ আকস্মিক হারে বাড়ছে।’
সংক্রমেণর হাত থেকে রক্ষা পেতেই জেলা পুলিশ এ উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, ‘জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা ‘মাস্ক সপ্তাহ’ চালু করেছি। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মঞ্চ থেকে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে একযোগে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। যাদের মাস্ক থাকবে না তাদের পরার শপথ করানো হবে, প্রাথমিকভাবে মাস্ক সরবরাহ করা হবে, মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিরুৎসাহিত করা হবে। পরে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘মাস্ক সপ্তাহ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক, পরিদর্শক (তদন্ত) পরিমল দে, পরিদর্শক (অপারেশন) বদিউজ্জামান, পৌর কাউন্সিলর মনবীর রায় মঞ্জু, ফয়ছল আহমদ, নারী কাউন্সিলর শ্যামলী পুরকায়েস্তসহ অনেকে।
এ ছাড়া পৃথকভাবে জেলা প্রশাসনের প্রতিদিনের মতো সংক্রামক আইন প্রয়োগে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।