ময়মনসিংহে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে গণহত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি সুলতান মাহমুদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪।
গতকাল রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ময়মনসিংহ শহরের ভাটিকাশর এলাকা থেকে সাজাপ্রাপ্ত এই যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে ময়মনসিহস্থ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান।
র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক বলেন, ‘চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সুলতান মাহমুদসহ ছয় জনকে মৃত্যদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। রায়ের পর থেকে তিনি গা ঢাকা দেন। গোপনে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রোববার রাতে বাড়িতে আসেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১৪ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা ময়মনসিংহ শহরের ভাটিকাশর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।’
গ্রেপ্তার হওয়া সুলতান মাহমুদকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের একটি আদালতে সুলতান মাহমুদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আসামি ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. মোখলেসুর রহমান মুকুল, মো. সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, মো. সুলতান মাহমুদ ফকির ও নাকিব হোসেন আদিল সরকার। এ মামলায় রায় ঘোষণার আগেই দুজন কারাগারে এবং একজন পলাতক অবস্থায় মারা যান। পরে ২০১৭ সালে বিচারের জন্য মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিন র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক সাংবাদিকদের আরও জানান, পৃথক অভিযানে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকায় বাবু (২৬), আশিক মিয়া (২৫) ও উজ্জ্বল মিয়া (২০) নামের তিনজনকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।