মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং মানবাধিকার, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

স্থানীয় সময় গত সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ফেসবুক পেজে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের উদ্ধৃতি দিয়ে এসব কথা বলা হয়েছে।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ২০১৭ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তায় প্রায় দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডলার সাহায্যের কথা তুলে ধরেন, যার মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরী খাদ্য ও পুষ্টি পরিষেবা সরবরাহের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নতুন সহায়তায় ২৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানব ও শ্রম অধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রসারে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

ব্লিঙ্কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ভয় দেখানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চাই।’