যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস আজ
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস আজ শনিবার। শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। ক্যাসিনো কাণ্ড আর বয়সের কারণে অনেকেই এখন মাঠে নেই।
প্রথম সেশনে উপস্থিত থেকে কংগ্রেস উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে ওই অনুষ্ঠান। পদ্মাসেতুর আদলে গড়ে তোলা হয়েছে উদ্বোধনী মঞ্চ।
দ্বিতীয় সেশনে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
যুবলীগের সাবেক নেতাদের চাওয়া- তরুণ, যুববান্ধব ও সৎ নেতৃত্ব। আর বর্তমান নেতারা চান- ছাত্র ও যুব রাজনীতির অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ কর্মীবান্ধব, গতিশীল ও সহজপ্রাপ্য কাউকে।
যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক এনটিভি অনলাইকে বলেন, ‘কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগে যেভাবে নেতৃত্ব এসেছে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। নেত্রী সৎ, যোগ্যদের নেতৃত্বে আনছেন। আমি আপনাকে বলতে পারি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদক সৎ নিষ্কলুষ হলেই হবে না পুরো কমিটিই নিষ্কলুষ হতে হবে। সেহেতু আমাদের লক্ষ্য কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক না; পুরো কাঠামোই নিষ্কলুষ, নির্ভীক ও দেশপ্রেমিক হতে হবে।’
ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের থেকে নেতৃত্ব আসা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানক আরো বলেন, ‘সবসময় কিন্তু তাই হয়েছে। আমি নিজেও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেওয়ার পরই যুবলীগে এসেছি এবং গুরুত্বপূর্ন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলাম, যা একটি মাত্র পদ ছিল। আজকে যিনি ছাত্রলীগ করেছেন কাল তিনি যুবলীগ করবেন। কাল যিনি যুবলীগ করবেন তিনি সারা জীবন যুবলীগ করবেন না। তিনি যুবলীগ থেকে বিদায় নিবেন আওয়ামী লীগ করবেন। তাই আমরা আশা করি ছাত্রলীগ থেকে যে তরুণ বন্ধুরা রেড়িয়ে এসেছে ,যারা রাজনীতি করতে চান ,যুবলীগ করতে চান আদর্শ ও মস্তিস্ক রয়েছে তারা অবশ্যই যুবলীগে জায়গা করে নিবেন।’
নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুবলীগের নেতৃত্ব বাছাই কাউন্সিলররা ঠিক করবেন। তাঁদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হবে। তাঁদের সম্মতিতে পরবর্তী নেতৃত্ব আসবে। নেতৃত্বের দ্বার উন্মোচনে অবশ্যই আমাদের অভিভাবক সভাপতি রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনার মূল্যবান পরামর্শ আমরা নেব।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরবর্তী নেতা হিসেবে যদি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির রক্তের উত্তরাধিকারের কাউকে এখানে চাওয়া হয়, সেটা অবশ্যই যুবলীগের অধিকার আছে।’
এদিকে ২৩ নভেম্বরের সপ্তম কংগ্রেসকে সামনে রেখে শীর্ষ দুই পদ পেতে অনেকেই তৎপর। খোঁজ নিয়ে ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদে অনেকেই আলোচনায় আছেন।
চেয়ারম্যান হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ ও তাঁর ছোট ভাই সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বর্তমান কমিটির সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম (শেখ সেলিমের ছেলে), যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য- শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আতাউর রহমান, বেলাল হোসেন ও ডা. মোখলেছুর রহমান হিরু।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, অর্থ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হালদার, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, সহসম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ।

নিজস্ব প্রতিবেদক