রংপুরের গণসমাবেশে যোগ দিচ্ছেন দিনাজপুরের ৬০ হাজার নেতাকর্মী
রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে দিনাজপুর জেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৬০ হাজার নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছে বলে দবি করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। জেলা মোটর মালিক সমিতির ধর্মঘট থাকায় একদিন আগেই সমাবেশস্থলে রওনা হয়েছেন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী।
বিএনপির সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুরের মেয়ে হওয়ায় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফফাজল হোসেন দুলাল বলেন, ‘চট্টগ্রাম-খুলনা-ময়মনসিংহের বিভাগীয় গণসমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির মানুষের ঢল ঠেকাতে কৌশলে পরিবহণ নেতাদের দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়। তাদের এই অপকৌশল বুঝতে পেরে রংপুরের সমাবেশে যোগ দিতে তিন দিন আগেই নেতাকর্মীরা রংপুরে পৌঁছে গেছে। আমরাও এই নতুন কৌশল অবলম্বন করেছি। যাতে গণসমাবেশে কোনোভাবেই উপস্থিতি বানচাল না হয়। এই সমাবেশে মানুষের ঢল নামবে।’
এদিকে, গণসমাবেশে যোগদানের জন্য দিনাজপুর থেকে সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশা, পিকাপ, মাইক্রোবাস, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে গিয়ে রংপুরের গণসমাবেশে অংশ নিচ্ছে।
বিএনপির সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে জেলা বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে বলেও নেতারা জানিয়েছেন।
চট্টগাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার চেয়ে রংপুরের বিভাগীয় গণসমাবেশে বেশি নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে বলে মনে করছেন জেলা বিএনপির নেতারা। কোনো বাধাই মানুষের ঢলকে ঠেকাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহম্মেদ কচি বলেন, ‘রংপুরের বিভাগীয় গণসমাবেশকে সফল করার লক্ষে জেলার নেতাকর্মীরা পুরো উদ্যমে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে।’
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ও বিএনপির নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যার বিচার এবং বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে আগামীকাল রংপুরের বিভাগীয় গণসমাবেশ।