রংপুরে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ
আগামী শনিবার বিএনপির রংপুর বিভাগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা নেতাকর্মীদের হয়রানি করছেন বলে দলের নেতারা অভিযোগ করেছেন। এদিকে মঞ্চ নির্মাণের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন স্থানে তোরণ, ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার লাগানো হচ্ছে। বিএনপির এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংস্থার নজর এখন রংপুরের দিকে।
শনিবারের সমাবেশ সফল করতে বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রংপুরে এসেছেন। তারা প্রস্তুতি মনিটরিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বাধা বিপত্তি কাটিয়ে সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগমের কৌশল গ্রহণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের দলনেতা হারুন অর রশীদ, এমপি। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের র্যাব তাদের ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে। তবে কোনো বাধায় সমাবেশে উপস্থিতি ঠেকানো যাবে না।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে হারুন বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর নয়, ২৯ তারিখ রংপুরেই খেলা হবে।’
এদিকে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে যানবাহন বন্ধসহ বাধা সৃষ্টি হতে পারে এমন আশংকায় ২/৩ দিন আগে থেকে রংপুর আসতে শুরু করেছেন আশেপাশের জেলার নেতাকর্মীরা।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান সামু অভিযোগ করে বলেন, ‘রংপুর নগরীসহ আশেপাশের এলাকার নেতাকর্মীদের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন হয়রানি করছে। তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’
এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রংপুর মহানগর মহিলা দলের নেত্রী অ্যাডভোকেট রেজেকা সুলতানা ফেন্সি। শনিবারের সমাবেশে ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি হবে এবং রংপুর হবে জনতার শহর এমন দাবি বিএনপির নেতাকর্মীদের।