রামপালে একসঙ্গে দুই বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন ইউএনও
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/10/01/rampal-uno.jpg)
বাগেরহাটের রামপালে একদিনে একই এলাকার দুইটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কবীর হোসেন।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন জানান, উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জিগিরমোল্লা ও সিংগরবুনিয়া গ্রামে পৃথক দুইটি বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে আজ দুপুরে ইউএনও কবীর হোসেন পুলিশ নিয়ে সেখানে যান। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন জিগিরমোল্লা গ্রামের শেখ ফরিদের মাদ্রাসাপড়ুয়া কন্যা মরিয়ম খাতুনকে (১৬) এবং সিংগরবুনিয়া গ্রামের রহুল আমিন হাওলাদারের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে তাছলিম লামিয়াকে (১৫) বাল্যবিবাহ দিচ্ছিল তাদের পরিবার। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে দুইটি বন্ধ হয়। এ সময় বাল্যবিয়ের আয়োজনকারী দুইটি পরিবারের অভিভাবকেরা প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দেন। মুচলেকায় তারা তাদের মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে অঙ্গীকার করে। মুচলেকা দেওয়ায় তাদের প্রাথমিক ক্ষমা করে সর্তক করে দিয়েছে প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান স্যারের নির্দেশ বাল্যবিবাহ শূন্যের কোঠায় রাখার। তাই কোনোভাবে বাল্যবিবাহ হতে দেওয়া হবে না। বাল্যবিবাহের সঙ্গে যদি স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা কেউ সম্পৃক্ত থাকেন তাদের কেউকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। বাল্যবিবাহ দেওয়া পরিবার ও তাদের সহযোগিতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বাল্যবিবাহ রোধে দুই একদিনের মধ্যে রামপালের সব কাজীদের নিয়ে বসা হবে। যাতে আর একটিও বাল্যবিবাহের ঘটনা এখানে না ঘটে। যদি কোনো কাজী বাল্যবিবাহ পড়ান এমন খবর পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাল্যবিবাহ বন্ধে সবাইকে সচেতন ও প্রশাসনকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন ইউএনও মো. কবীর হোসেন।