‘রুনির মা তো পারেননি, আমি বিচার দেখে যেতে চাই’
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার দশ বছর পেরিয়ে গেলেও মামলার তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার না দেখেই চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি মারা গেছেন মেহেরুন রুনির মা নুরুন নাহার মির্জা। জীবদ্দশায় ছেলে সাগর সরওয়ারের বিচার দেখে যেতে চান সালেহা মনির।
এক দশকে ৮৫ বার পিছিয়েছে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। তাই, এখনও রহস্যের আড়ালেই রয়ে গেছে বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড। সাগর-রুনির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ—সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার অভাবেই মামলার কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।
নিহত সাগর সরওয়ারের মা সালেহা মনির বলেন, ‘সরকার ইচ্ছা করলে সব কিছুই করতে পারে। আমি জীবদ্দশায় (বিচার) দেখে যেতে চাই। রুনির মা তো পারেননি, আমি দেখে যেতে চাই, ছেলের কবরটা জিয়ারত করতে চাই।’
তবে, তদন্ত সংস্থা বলছে—তাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে গোটা সাংবাদিক সমাজসহ বিক্ষোভের ঝড় উঠেছিল দেশজুড়ে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনি হত্যার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্রুত হত্যাকারী খুঁজে বের করার কথা বলেছিলেন। আর তখনকার পুলিশ প্রধান তো খুনি চিহ্নিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে এ মামলার ন্যূনতম অগ্রগতি দেখতে পায়নি দেশবাসী।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট আট জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁদের দুজন জামিনে রয়েছেন।