রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের অভিযান, অস্ত্রসহ আরসার ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ রোহিঙ্গা তিন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য বলে জানিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে অভিযান চালিয়ে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমদ জানান, আজ সকালে অভিযান চালিয়ে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গা হলেন, উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এম-২ ব্লকের বাসিন্দা হাফিজ উল্লাহ ওরফে হাফিজুর রহমান (২০) এবং একই আশ্রয় শিবিরের এম-১ ব্লকের বাসিন্দা নুর ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ জাবের (৩৫)।
এপিবিএনের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তার করা রোহিঙ্গদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, ইয়াবা কারবার ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসার সদস্য।
এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, আজ সকালে উখিয়া উপজেলার ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের কে-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির চায়ের দোকানে কতিপয় সশস্ত্র লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দ্যেশে জড়ো হয়েছে— এমন খবরে এপিবিএনের একটি দল অভিযান চালায়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্দেহভাজন পাঁচ-ছয়জন লোক এপিবিএন সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে তিন জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁদের দেহ তল্লাশি করে পাওয়া যায় দেশীয় তৈরি একটি বন্দুক, দুটি পিস্তলের গুলি ও দুটি রাইফেলের গুলি।
এপিবিএনের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার করা আরসার এই সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।