লক্ষ্মীপুরে ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাছরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লক্ষ্মীপুর সদর আদালতের বিচারক শামছুল আরেফিন এ আদেশ দেন। মামলার আইনজীবী ও ভুক্তভোগী মুহাম্মদ মাহমুদুল হক সুজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী সুজন বলেন, ‘১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার চেকের মামলা আমলে নিয়ে বিচারক সমন জারি করেছেন। আজ মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আদালত নোটিশ পাঠায়। কিন্তু, তাঁরা আদালতে উপস্থিত হননি। এতে আদালতের বিচারক তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অন্যরা হলেন—ইভ্যালির ম্যানেজার ফাইন্যান্স জায়েদ হাসান, সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স আব্দুল্যা আল মাসুদ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল।
সূত্র জানায়, চলতি বছর ২৭ ও ২৮ মার্চ মুহাম্মদ মাহমুদুল হক সুজন বাদী হয়ে ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্তদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনটি মামলা করেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, মাহমুদুল হক এসি, টিভি, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিতে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু, পণ্যগুলো দিতে ইভ্যালি ব্যর্থ হয়। এতে ইভ্যালির কর্মকর্তা জায়েদ হাসান ও আব্দুল্যা আল মাসুদের যৌথ স্বাক্ষরে মিডল্যান্ড ব্যাংক হিসাবে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার তিনটি চেক রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাহমুদুল হকের কাছে পাঠায়। এরমধ্যে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা, তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা ও চার লাখ ৩৩ হাজার টাকার পৃথক চেক ছিল। ওয়ান ব্যাংক থেকে চেকগুলো নগদায়নের জন্য মিডল্যান্ড ব্যাংকে পাঠালে জানা যায় ইভ্যালির হিসাব বন্ধ রয়েছে। এতে ডিজঅনারপূর্বক চেকগুলো ফেরত আসে।
১০ ফেব্রুয়ারি মাহমুদল হক আইনজীবীর মাধ্যমে পাওনা টাকার জন্য অভিযুক্তদের লিগ্যাল নোটিশ করে। কিন্তু, তারা পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি ও চেকগুলোও ফেরত নেয়নি। এতে ইভ্যালির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা ও হিসাব বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চেক প্রদান করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৮৮১ সালের এনআইএ্যাক্টের ১৩৮/১৪০ ধারায় মামলা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল গুলশান থানার একটি এবং ধানমন্ডি থানার পাঁচটি মামলায় বাদীর সঙ্গে মীমাংসার ভিত্তিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা ও তার স্বামী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলের জামিন দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।