লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড : ঢাকা থেকে চিকিৎসকদল বরিশালের পথে
ঝালকাঠীর সুগন্ধা নদীতে 'এমভি অভিযান-১০' লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে ঢাকা থেকে একটি চিকিৎসকদল বরিশালে রওনা হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সাতজন চিকিৎসক এই দলে রয়েছেন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্তলাল সেন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় চিকিৎসকদের এ দল গঠন করা হয়েছে।
চিকিৎসক দলে রয়েছেন ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুরুল আলম, ডা. মাসরুর উর রহমান, রেজিস্ট্রার ডা. মোরশেদ কামাল, আবাসিক চিকিৎসক ডা. মৃদুল কান্তি সরকার, ডা. শাওন বিন রহমান প্রমুখ।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, এরই মধ্যে ডা. শাওন বিন রহমান বরিশালে পৌঁছে গেছেন এবং রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেছেন। বাকিরা পথে রয়েছেন। তারা সেখানে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল ‘এমভি অভিযান-১০’ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছালে রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে।
এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠির বিভিন্ন হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।