শরীয়তপুরে ট্রলারডুবি : এবার শিশুর লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় এবার খাদিজা (৩) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোর ৪টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নৌ পুলিশের মাঝিরঘাট ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মৃদুল চন্দ্র কাপালিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এই ট্রলারডুবির ঘটনায় আবদুর রহমান আকন্দ (৭০) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দুজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
এসআই মৃদুল চন্দ্র কাপালিক বলেন, ‘জাজিরার সিডারচর এলাকায় শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় জেলেরা আমাদের খবর দেন। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি শিশুর লাশের অর্ধেক দেহ বালুতে ঢাকা অবস্থায় দেখতে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈরি আবহাওয়ার কারণে বন্ধ ছিল লঞ্চ চলাচল। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পালেরচর ঘাট থেকে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। পথে পদ্মা নদীর পৌলান মোল্লাকান্দি এলাকায় পৌঁছালে ট্রলারটি ডুবে যায়।
দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে পালেরচর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছিলাম। আবহাওয়া খারাপ থাকায় লঞ্চ বন্ধ ছিল। ট্রলারে করে কিছুদূর যাওয়ার পর ঢেউ ও স্রোতের কারণে ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে সবাই ডুবে যায়। কেউ কেউ সাঁতরে তীরে আসতে পারে।
জাজিরার ইউএনও আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে জাজিরা ঘাট থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিছু লোক জাজিরার পূর্ব নাওডোবা জিরো পয়েন্ট থেকে জেলে ট্রলারে করে পদ্মা নদী পার হয়ে মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার চেষ্টা করে। ট্রলারটি তীর থেকে ছেড়ে নাওডোবা ও পালেরচর মাঝামাঝি এলাকায় পদ্মা নদীতে গেলে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।