শরীয়তপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

শরীয়তপুর সদরের পৌর শহরে দোকানে ঢুকে রোকনুজ্জামান পারভেজ (৪০) নামের এক সাংবাদিককে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
আসামিরা হলেন শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর পালং গ্রামের মো. নাজমুল হাসান (২৫), নাইমুল হাসান নিলয় (২২), হৃদয় (২৫) ও রিফাত (২৩)।
ঘটনার পর থেকে এখন অবধি হামলাকারীদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।
ফলে আগামীকাল বুধবার থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে শরীয়তপুর প্রেসক্লাব, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
গতকাল সোমবার দুপুরে রোকনুজ্জামান পারভেজ তাঁর নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। এ সময় ২০ থেকে ২৫ জন মিলে এক নারীকে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করছিল। এক পর্যায়ে পারভেজের দোকানে আশ্রয় নেয় ওই নারী। তখন ওই সন্ত্রাসীদের দোকান থেকে বের হতে বলেন পারভেজ। ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করার সময় পারভেজকে কিল-ঘুষি ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় দোকান থেকে নগদ টাকাও লুট করা হয় বলে দাবি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
আহত রোকনুজ্জামান পারভেজ এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের শরীয়তপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। এ ছাড়া শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এদিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) পারভেজ হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তানভীর হায়দার শাওন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে, পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন হাসপাতালে সাংবাদিক পারভেজকে দেখতে আসেন।
শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি শেখ খলিলুর রহমান ও শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচির ডাক দিয়েছি। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
পালং মডেল থানার ওসি মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘আজ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’