মানহানির মামলায় সেই তাপসী তাবাসসুম উর্মির বিচার শুরু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ ও প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে করা মানহানির মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন তাপসী তাবাসসুম জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। তার পক্ষে আইনজীবী পিএম মাহাদী হাসান মামলা থেকে অব্যাহতি আবেদনের শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। এ সময় তাপসী তাবাসসুম উর্মি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তার অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এর ফলে মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।
গত ২৬ জানুয়ারি একই আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ছিল। ওইদিন তাপসী তাবাসসুম উর্মি আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। একইসঙ্গে তার আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন ও সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ৮ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। শুনানির পর বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে এ বিষয়ে আদেশ পরে হবে বলে জানান। এরপর ২৮ নভেম্বরের মধ্যে তাবাসসুমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তাপসী তাবাসুম উর্মি গত ৫ অক্টোবর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া হয়। ওই পোস্টের মাধ্যমে শহীদ আবু সাঈদসহ আন্দোলনের অন্যান্য শহীদদের ‘অপমান’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাদী।
বাদী মনে করেন, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে তাপসী তাবাসসুম উর্মি আন্দোলনের একজন শহীদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ দিয়ে তার ‘অবমাননা’ করেছেন; আর তাতে আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে বাদী ‘ব্যথিত ও অপমানিত’ হয়েছেন।
তাপসী তাবাসুম উর্মি সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকার পরও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও ‘অবমাননাকর বক্তব্য’ ফেসবুকে লিখেছেন বলে আবেদনে অভিযোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, সরকারপ্রধান সম্পর্কে ‘বিষোদগার’ এবং ‘সরকার উৎখাতের হুমকি’ দিয়ে জনমনে ‘ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে’ ওই ফেসবুক পোস্টে।