পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে আটক ভারতীয় নাগরিক সত্যেন্দ্র কুমার (৪০) মারা গেছেন। আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। তিনি শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সুমন কুমার পোদ্দার জানান, শ্বাসকষ্ট হওয়ায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে তাকে আনা হয়। পরে ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ডাক্তার লিনিয়া সাদিয়া প্রেসার মেপে ভর্তি করেন। পরে ১২টা ৪০মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

সুমন কুমার পোদ্দার জানান, রোগীর ময়নাতদন্ত ছাড়া জানা যাবে না এটা স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক মৃত্যু। সূর্যের আলো না থাকার কারণে ময়নাতদন্ত করা যায়নি।

শরীয়তপুর জেলখানা সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে গত ৮ অক্টোবর শরীয়তপুর জেলখানায় আনা হয়। আজ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুর ১২টার দিকে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান।

জেলার দিদারুল আলম জানান, ‘শরীয়তপুর কারাগারে এখনো ৪৬ জন ভারতীয় নাগরিক আটক রয়েছে। এর ভেতরে আটজন ভারতীয় মহিলা।’

মারা যাওয়া সত্যেন্দ্র কুমার ভারতের দিল্লি প্রদেশের সাথুরা মুলতানপুর জেলার চেয়াপুর গ্রামের চন্দ্রপালের সন্তান। তার বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় মামলা করা হয়। ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান বলেন, ‘পদ্মা সেতু এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছিল।’

শরীয়তপুর জেলখানার দায়িত্বে থাকা জেল সুপার আব্দুর রহিম বলেন, ‘মৃত হাজতির মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কারা কর্তৃপক্ষ ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।’