শাল্লায় হিন্দুদের ওপর হামলার ২৯ আসামি রিমান্ডে
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া, অন্য ২৮ আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শাল্লা জোনের বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সুনামগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত রোববার দুপুরে আদালতে হাজির করে স্বাধীন মিয়ার ১০ দিন এবং অন্য আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ। এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট ৩৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শানে রিসালাত সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সামনে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই সূত্র ধরে পাশের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের ঝুমন দাস আপন তাঁর ফেসবুকে মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেন বলে দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে ঝুমনকে খুঁজে বের করে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশে দেয় লোকজন। এরপরও লোকজন শান্ত না হয়ে গত বুধবার সকাল থেকে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নোয়াপাড়া গ্রাম ঘিরে রাখে। পরে তারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হবিবপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে প্রথম মামলাটি করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউপির সদস্য নাচনী গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াকে। তিনি ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে। তবে স্বাধীন মিয়া যুবলীগের কেউ নন বলে দাবি করছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল।
এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও দেড় হাজার জনকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে অপর মামলাটি করা হয়। পুলিশের করা মামলার বাদী হয়েছেন শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম।