শিশু মরিয়মকে খুঁজে পেয়েছে পরিবার
পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু মরিয়ম নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে হারিয়ে যায় গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে। ওই দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয় স্মরণির মোড়ে একা একা দাঁড়িয়ে কাঁদছিল শিশুটি। পরে পুলিশ মরিয়মকে উদ্ধার করে তেজগাঁও থানা প্রাঙ্গণে অবস্থিত ঢাকা মহানগর পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে।
এ নিয়ে এনটিভি অনলাইন গতকাল শনিবার ‘রাস্তায় কাঁদছিল শিশুটি, স্বজনকে খুঁজছে পুলিশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে শিশুটির খোঁজ পেতে তেজগাঁও থানা পুলিশের মুঠোফোন নম্বর সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।
আজ রোববার সকালে প্রতিবেদনটি মরিয়মের খালু জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়ার বন্ধু আনোয়ার হোসেনের নজরে আসে। আনোয়ার বিষয়টি জাহাঙ্গীরকে জানানোর পর তিনি তেজগাঁও থানায় যোগাযোগ করেন। আজ দুপুরে থানায় গিয়ে মরিয়মকে সিদ্ধিরগঞ্জে নিয়ে চলে যায় তার পরিবার।
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মরিয়মের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়। মরিয়মের বাবা-মা দুজনই লেবাননে থাকতেন। মেয়ের কারণে মা কুলসুম আক্তার লতা বাংলাদেশে চলে এসেছেন। চাঁদপুর থেকে গত মঙ্গলবার দুপুরে মরিয়ম ও তার মা আমার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে আসেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে সে ঘুম থেকে ওঠে। তার মাও ওই সময় ওঠে। পরে মরিয়মের মা ওয়াশরুম থেকে ঘরে গিয়ে দেখতে পান, মেয়ে ঘরে নেই। সারা এলাকায় খুঁজেছি, মাইকিং করেছি। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি।’
‘বাড়িতে কী যে এক অবস্থা। খালুর বাড়িতে ঘুরতে এসে মেয়ে নিখোঁজ! কয়েকটা দিন ভীষণ বাজে সময় গেছে আমাদের। আমি নিজেকে কোনোভাবেই বোঝাতে পারছিলাম না। এই নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করি আমি। কিন্তু কেউ কোনো খোঁজ দিতে পারছিলেন না।’ যোগ করেন জাহাঙ্গীর
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আজ সকালে আমার বন্ধু আনোয়ার হোসেন আমাকে আপনাদের নিউজের কথা জানালেন। এর পরই তেজগাঁও থানায় কথা বললাম। তারপর মনে হলো বুকের পাথরটা নেমে গেল। আজ দুপুরে মরিয়মকে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে নিজ বাড়িতে নিয়ে এসেছি। এনটিভিকে ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই।’
কিন্তু জাহাঙ্গীর আলমের প্রশ্ন, পাঁচ বছর বয়সী এইটুকু মেয়ে একা একা কীভাবে ঢাকা পর্যন্ত গেল? তিনি বলেন, ‘মরিয়মের কাছে জানতে চাইলাম। কিন্তু সেও কিছু বলতে পারছে না। মরিয়ম বলছে, সে নাকি ঘর থেকেই বের হয়নি। এই সংক্রান্ত কিছুই সে বলতে পারছে না।’
এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় মরিয়মের। সে সময় মরিয়মের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তুমি ঢাকায় আসলে কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে মরিয়ম বলে, ‘আমি তো ঘরেই ছিলাম। কিছুই জানি না।’