সন্ত্রাসবিরোধী আইন : দুই জামায়াত নেতার স্বীকারোক্তি
রাজধানীর ভাটারা থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও আব্দুর রবসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে আসামি মনিরুল ইসলাম এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে আবুল কালাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রণপ কুমার ভক্ত।
এদিকে একই মামলায় আজ বিকেলে অন্য পাঁচ আসামিকে আবার দুই দিন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত। তাঁরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে জামায়াতের নয়জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ড শেষ হলে আজ তাদের আবার আদালতে আনা হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ আসন থেকে জামায়াতের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। হামিদুর রহমান আযাদ ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জামায়াতের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।