সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ল ৫০ টাকা

সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়েছে। সেই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২৫ টাকা। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ২০০ টাকা। সাত দিনের ব্যবধানে এক লাফে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে, আজ ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি ছিল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। তবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২৮৫ থেকে ৩০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে দাম।
বাজারে দেখা গেছে, ধুন্দল কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬৫ থেকে ৮৫ টাকা, টমেটো ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, শসা ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা এবং আকার ভেদে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে, শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়। ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া ও পাঙাশ, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং মাছের কেজি ৩২০ থেকে ৪৬০ টাকা এবং কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। ঈদের পর এসব মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘মরিচের দাম বাড়ছেই। এই দাম অবাক করার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ, আমরাই বেশি দামে কিনছি।’
সবজি বিক্রেতা আহমেদ বুলবুল বলেন, ‘প্রায় সব সবজির দামও বাড়তি। মানুষের এখন সয়ে গেছে। বাজারে এলেই এখন তারা জানে, সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। আমরাও কিনি বেশি দামে, বেচিও বেশি দামে।’
মুরগি বিক্রেতা মাহফুজ বলেন, ‘বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এর আগে কোরবানির ঈদের মাংসের জন্য মুরগির দাম সীমিত ছিল। কিন্তু, এখন আবার মুরগির দাম বাড়তি।’