সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অষ্টম অংশীদারত্ব সংলাপ

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে সম্পর্ক আরও জোরদারে অষ্টম অংশীদারত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ সংলাপ শুরু হয়। এতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড নিজ নিজ দেশের পক্ষে অংশ নেন।
এ সংলাপে যোগ দিতে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ ত্রিদেশীয় সফরের অংশ হিসেবে প্রথমে ঢাকায় এসেছেন নুল্যান্ড।
গতকাল বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নুল্যান্ডকে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ ৯০ মিনিটব্যাপী ‘পার্টনারশিপ ডায়ালগ’-এর পর পররাষ্ট্র সচিব ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে তাঁদের আলোচনার ফলাফল প্রকাশের জন্য যৌথ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত হবেন।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং ঢাকায় মার্কিন কূটনীতিকেরা বলেছেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম, মানবাধিকার ও শাসন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক হুমকি, একটি মুক্ত ও ‘ওপেন ইন্দো-প্যাসেফিক রিজিয়ন’সহ আঞ্চলিক ইস্যু এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে অংশীদারত্বের এ সংলাপটি অতিরিক্ত গুরুত্ব পাচ্ছে।
অংশীদারত্ব সংলাপের বৈঠকের সঙ্গে সম্পর্কিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকা এ সংলাপে র্যাবের ওপর অবরোধের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরবে এবং সন্ত্রাস দমন ও মাদক পাচার রোধে এ আইন প্রয়োগকারী ইউনিটের সাফল্য তুলে ধরা হবে।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখনই র্যাবের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রমাণ ঢাকা এ বৈঠকে উপস্থাপন করবে।’
নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সম্পর্কে ঢাকায় অবস্থানরত এক মার্কিন কূটনীতিক বলেছেন, ‘সংলাপের সময় মানবাধিকার একটি অন্যতম ইস্যু হবে।’
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংলাপের এজেন্ডা নির্ধারণে একসঙ্গে কাজ করেছে।
সপ্তম বাংলাদেশ-মার্কিন অংশীদারত্ব সংলাপ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল—বঙ্গোপসাগরে এটি মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস, জলদস্যুতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমন্বয় বাড়াতে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সহায়তা দেবে।