সরকার সেরামকে টাকা দিয়েছে, টিকা দিতেই হবে : নাজমুল হাসান পাপন
অগ্রিম টাকা নিয়ে ভ্যাকসিন না দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে সংসদ সদস্য এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘সরকার টিকা পেতে (ভারতের) সেরাম ইনস্টিটিউটকে অগ্রিম টাকা দিয়েছে। আর কোনো দেশ অগ্রিম টাকা দেয়নি, এমনকি ভারতও দেয়নি। সুতরাং আমাদের টিকা দিতেই হবে।’
নাজমুল হাসান পাপন আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পাপন বলেন, ‘সরকার সেরামকে অগ্রিম যে টাকা দিয়েছে সে অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেবে না, তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য না। সরকারের উচিত স্পষ্ট ভাষায় সেরামকে বলে দেওয়া যে, অগ্রিম টাকা অনুযায়ী ভ্যাকসিন আমাদের দিতেই হবে।’
এ ছাড়া পাপন বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী দেড় কোটি ডোজ টিকা এতদিনে পাওয়ার কথা। সরকার পুরো টাকাই দিয়ে দিয়েছে, কিন্তু হাতে পেয়েছে মাত্র ৭০ লাখ। বাকি ৮০ লাখ ডোজের জন্য সরকারের উচিত সেরামকে চাপ দেওয়া। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে চীন ও রাশিয়ার কয়েকটি কোম্পানি থেকে প্রচুর টিকা আসবে। তা ছাড়া বাংলাদেশেও উৎপাদন শুরু করবে।
বেক্সিমকো ফার্মা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, মোট ছয় মাসে সরকারকে তিন কোটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড সরবরাহ করার কথা। কিন্তু, জানুয়ারিতে ৫০ লাখ এবং ফেব্রুয়ারিতে ২০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করে বেক্সিমকো। এরপর ফেব্রুয়ারিতেই বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে টিকা রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার খবর জানা যায়। তারপর থেকে টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ৩৩ লাখ টিকা ভারতের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছে।
ফলে টিকা পাওয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে খোদ বেক্সিমকোর ফার্মারও। আর তাই গত রোববার বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাব্বুর রেজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমোদন প্রদানে ভারত সরকারকে আরও আন্তরিক হতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক অনুরোধ করা একান্ত আবশ্যক।’
এরপর থেকে আলোচনা আরও বেশি শুরু হয়েছে। চারদিকে আলোচনা— দেশের মজুত থাকা টিকা ফুরিয়ে আসছে। একইসঙ্গে নতুনভাবে ভারত আর টিকা রপ্তানি করছে না।