সাংসদ টুকু নির্বাচনি এলাকা ছেড়েছেন কিনা জানতে চান হাইকোর্ট
পাবনার বেড়া পৌরসভার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তথা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া চিঠি কার্যকর হয়েছে কিনা তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল বাতেনের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও মো. সাইফুল আলম।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তা সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুকে নোটিশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে গতকাল দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘মায়াদয়া করব না, পিষে দেব’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেটিও আদালতে দেখিয়েছি। আদালত পাবনার রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি আদেশ দিয়েছেন। ১৪ নভেম্বর দেওয়া চিঠি কতটুকু প্রতিপালিত হচ্ছে তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিয়ে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার আবার মামলাটি কার্যতালিকায় আসবে।’
সংসদ সদস্যের নির্বাচনি প্রচারে অংশগ্রহণ করার বৈধতা নিয়ে রিট করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল বাতেন।
‘মায়াদয়া করব না, পিষে দেব’- শীর্ষক দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাবনার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এক মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থককে এই হুমকি দেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শামসুল হক টুকু।
গত শুক্রবার সকালে বেড়া পৌর এলাকার বৃশালিখা পশ্চিমপাড়ার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল বাতেনের সমর্থক, আওয়ামী লীগকর্মী ইয়ামিন আলী। এ সময় তিনি পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর সামনে পড়েন। তখন ইয়ামিনকে এই হুমকি দেন শামসুল হক টুকু।