শেখ হাসিনা হাজির হলে রায় কার্যকরে চার ধাপ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আরও চার ধাপ পেরোতে হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এছাড়া ‘রাজসাক্ষী’ সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী, ধাপগুলো হলো— এক. পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে আসামিদের আপিল করতে হবে।
তবে আসামিরা পলাতক থাকলে এবং নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে আপিল না করলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে মাত্র একটি ধাপ পেরোতে হবে। এক্ষেত্রে আপিলের নির্ধারিত ৩০ দিন পর যেকোনো সময় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলে রায় কার্যকর করা যাবে। কেননা আপিল করার সুযোগ তামাদি হয়ে যাবে। তবে আইন অনুযায়ী দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে আসামি হাজির হয়ে আপিল করতে পারবেন।
দ্বিতীয় ধাপ : যদি আসামিরা ৩০ দিনের মধ্যে হাজির হয়ে আপিল করেন তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল বিভাগ মামলা নিষ্পত্তি করবে।
তৃতীয় ধাপ : আপিল বিভাগে রায় বহাল থাকলে রিভিউ করার সুযোগ পাবেন আসামিরা। রিভিউ শেষে রায় বহাল থাকলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ হবে।
চতুর্থ ধাপ : এরপর সুযোগ থাকবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার। প্রাণভিক্ষার আবেদন বাতিল হলে রায় কার্যকর হবে।

জাকের হোসেন