সাত জঙ্গির ফাঁসি, রাষ্ট্রপক্ষের সন্তোষ
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা মামলায় সাত আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করতে বলেছেন।
এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারওয়ার খান জাকির বলেন, ‘এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। জঙ্গিরা এ দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ও ইসলামী আইন কায়েম করার জন্য এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল। একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের কপি পড়ে পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া সাত আসামি হলো রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, মো. আবদুস সবুর খান, মো. আসলাম হোসেন র্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান সাগর, মো. শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। খালাস পাওয়া আসামি হলো মো. মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় সরকারপক্ষে শুনানি করেন গোলাম ছারওয়ার খান জাকির। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন।
মামলার শুনানি শেষে গত ১৭ নভেম্বর মামলার রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত। গত বছরের ২৬ নভেম্বর মামলাটির বিচার শুরু হয়েছিল ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালে। এর আগে গত বছরের ২৩ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর গুলশান হামলা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে আটজন আসামি ঘটনার পর বিভিন্ন অভিযানে এবং পাঁচজন হলি আর্টিজানে অভিযানের সময় নিহত হয়। বাকি আট আসামির উপস্থিতিতে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক