সাভারে তীব্র যানজট, দুর্ভোগে যাত্রীরা
রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। আর, সড়কে অতিষ্ঠ যানবাহনচালকেরা। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে অবহেলাকে যানজটের জন্য দায়ী করছেন তাঁরা।
তবে, ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ বলছেন—রাস্তার উন্নয়নের কাজ চলমান থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কারণে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। যানজট সৃষ্টির এটিও একটি কারণ।
যানজটে পড়ে থাকা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাসযাত্রীরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা যানজটে আছেন। প্রায় সময়ই এ সড়কে এমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সাভারের উলাইল থেকে থানা বাসসট্যান্ড পর্যন্ত যানজটের মাত্রা তীব্র। অথচ এ জায়গাটুকুতে রাস্তার দুধারে যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করে রাখতে দেখা গেছে।
বাসযাত্রীরা আরও জানান, এক সপ্তাহ ধরে এমন অবস্থা রয়েছে। উলাইল থেকে থানা বাসষ্ট্যান্ড পৌঁছাতে যেখানে সময় লাগতো মাত্র পাঁচ মিনিট, সেখানে এখন সময় লাগছে এক ঘণ্টারও বেশি।
অন্যদিকে, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ার নবীনগর ও বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ—সাভারে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে। তাঁরা রাস্তার পাশে যানবাহন পার্ক করা থাকতে দেখেও কিছু বলেন না। যদি সড়কের পাশে এভাবে যত্রতত্র পার্কি সুবিধা না দেওয়া হতো, তাহলে যানজট কিছুটা হলেও কমে যেত।
একাধিক বাসচালক মহাসড়কে ট্রাফিকের অব্যবস্থাপনার কথা বলেন। তাঁরা জানান, কারণে-অকারণে সিগন্যাল দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। অথচ এক লাইন কিছুক্ষণ বন্ধ রেখে আরেক লাইন ছেড়ে দিলে যানজট দীর্ঘ হয় না। অন্যান্য জায়গায় এমনটাই করা হচ্ছে। কিন্তু, এখানে একবার একটা লাইন বন্ধ করা হলে, তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধই থাকে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ বিন কাফি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মহাসড়কে উন্নয়নের কাজ চলছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে গেছে। ফলে সড়কে বাড়তি যানবাহনের চাপ রয়েছে। এসব কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’
নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব সালাহউদ্দিন খান নঈম ট্রাফিকের অবস্থাপনাকে দায়ী করে বলেন, ‘আগে-পরে সব সময় এ সড়কে যানবাহন চলে। কিন্তু, এত জট থাকে না। সড়কে হঠাৎ গাড়ি বেড়ে যাওয়ায় যানজট বা উন্নয়নের কাজ চলায় যানজট তৈরি হচ্ছে, এটা বলা ঠিক হবে না।’