সার পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
দেশে সারের পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে এবার খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মোট চার কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এই কক্ষ। দেশের কোথাও সার নিয়ে অনিয়ম হলে কিংবা সার সম্বন্ধে যেকোনো তথ্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানানো যাবে।
আজ রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে—পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আজ থেকে কাজ করবে। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সার বিষয়ক যেকোনো প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে—ফোন নম্বর ব্যস্ত থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ নম্বর
দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের নাম ও ফোন নম্বর হলো : কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান শেখ বদিউল আলম ০১৭১৩৫৯৩৪৮৭, গবেষণা কর্মকর্তা মো. নূরুন্নবী ০১৭১৬৪৬২২৭৭, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সার) আমিনুল ইসলাম ০১৭২৪২৪৫৩৫৪ এবং অতিরিক্ত উপপরিচালক খন্দকার রাশেদ ইফতেখার ০১৮১৪ ৯৪৭০৫৪।
উল্লেখ্য, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে ইউরিয়া সারের মজুত ছয় লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি তিন লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি আট লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি দুই লাখ ৭৩ হাজার টন।
সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ছয় লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি এক লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি দুই লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি এক লাখ ৩৭ হাজার টন। বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুত বেশি। বিগত বছরে এই সময়ে ইউরিয়া সারের মজুত ছিল পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি দুই লাখ ২৭ হাজার টন, ডিএপি পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার টন এবং এমওপি এক লাখ ৯৬ হাজার টন।
বিসিআইসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ইউরিয়া সার বিক্রি হয়েছে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৭৮৯ মেট্রিক টন, যা বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ হাজার ৬০০ টন বেশি। বিগত বছর এই সময়ে ইউরিয়া সার বিক্রি হয়েছিল তিন লাখ ৬৫ হাজার ১৭৯ টন।