সাড়ে সাত মাস পর সেন্টমার্টিনের পথে পর্যটকবাহী জাহাজ
প্রায় সাড়ে সাত মাস বন্ধ থাকার পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে আজ মঙ্গলবার একটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করেছে। সকাল ১০টার দিকে কেয়ারি ক্রুজ নামের জাহাজটি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করেছে। সেটি ফিরে আসার পর নৌপথ নিরাপদ কিনা, তা বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে অন্যান্য পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইউএনও আরও জানান, এতদিন সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ঘাটটির সংস্কারের কাজ চলমান থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। জেটির সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কেয়ারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস জাহাজের টেকনাফ অফিসের ম্যানেজার শাহ আলম জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে মঙ্গলবার সকালে ৩১০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন রওয়ানা দেয়। এর আগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নৌ-পরিবহণ দপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
শাহ আলম আরও জানান, আগামী ১৮ নভেম্বর কেয়ারি সিন্দাবাদ এবং আগামী ২০ নভেম্বর থেকে অন্যান্য সব পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করবে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতি হয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। অবশেষে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। পর্যটকদের জন্য হোটেল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এতে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অপরদিকে, দীর্ঘদিন পর সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ করতে পেরে পর্যটকদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে।
মহামারি করোনা, প্রতিকূল আবহাওয়া ও সেন্টমার্টিন জেটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ার কারণে দীর্ঘদিন নিয়মিত পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে পারেনি। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। জেটি সংস্কারের পর কিছুদিন আগে সেন্টমার্টিন জেটি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের একটি টিম। পরে সবকিছু বিবেচনা করে আজ মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।